১০ টি হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী খাবার

হরমোন শরীরে বার্তাবাহকের মতো কাজ করে। শরীরের সঠিক কার্যক্রমের জন্য হরমোন খুব জরুরি। মানুষের শরীরের বিভিন্ন কোষ বা গ্রন্থি থেকে বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়।শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন, মানসিক চাপ ইত্যাদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।

 

১.বাদাম

বাদামের মধ্যে রয়েছে লিনোলেইক এসিড এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বাদাম শরীরের হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে এর ভারাসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। হরমোনের ভারাসাম্য বজায় রাখতে কাঠবাদাম, ওয়াল নাট, পাইন বাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন।

 

২.অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডো মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৬। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ভিটামিনের অভাবের সাথে মেয়েদের প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সম্পর্ক রয়েছে। এটি পুরুষদের শুক্রাণু উৎপাদনেও জরুরি। তাই হরমোনের ভারাসাম্য রক্ষায় সাহায্য করতে এই খাবারগুলো খেতে পারেন।

 

৩.কলা

কলার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৬। এটি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।

 

৪.ফ্ল্যাকস সিড

ফ্ল্যাকস সিডের মধ্যে রয়েছে লিনোলেইক এসিড। এটি মেয়েদের প্রোজেস্টেরন হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই ফ্ল্যাকস সিডও খেতে পারেন হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য।

 

৫.মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৬। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ভিটামিনের অভাবের সাথে মেয়েদের প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সম্পর্ক রয়েছে। এটি পুরুষদের শুক্রাণু উৎপাদনেও জরুরি। তাই হরমোনের ভারাসাম্য রক্ষায় সাহায্য করতে এই খাবারগুলো খেতে পারেন।

 

৬.গাজর

গাজরও ভিটামিন বি৬-এর ভালো উৎস। তাই এটিও খেতে পারেন।

 

৭.আমিষ

হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে খান প্রোটিন জাতীয় খাবার। চেষ্টা করুন আপনার প্রতিটি মিলে যেন প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকে। মাংস, মাছ, ডিম, দুধ হাই প্রোটিনের উৎস। তাই লাঞ্চ হোক বা ডিনার, প্রোটিন জাতীয় খাবার মাস্ট। ডিম খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করে, তাই মাছ মাংস না হলে শুধু ডিম খেলেও হরমোন ব্যালেন্স রাখা যাবে।

 

৮.চা

হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে চা খুব উপকারী। তবে দুধ চা নয়, এজন্য খেতে হবে ভেষজ চা। তুলসী, গ্রিন টি খেলে বিপাকক্রিয়া বাড়ে। পাশাপাশি এগুলো শরীরের ডিটক্স পদ্ধতি ঠিক রাখতে সাহায্য করে, যা হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় খুবই জরুরি। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাফিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দিনে ১-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।

 

৯. ঘি

ঘরে তৈরি ঘি বা বাটারে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-২ থাকায় এগুলো হরমোনের ভারসাম্য রাখতে সহায়তা করে।

 

১০. নারকেল তেল

নারকেল তেলে থাকা লাউরিক অ্যাসিড এবং এমসিটি, হরমোন তৈরিতে অত্যন্ত উপকারী। ওজন কমাতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। সেই সঙ্গে এই তেল বিপাকক্রিয়া বাড়ায় ও শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।